বিএনপি নেতা-কর্মীদের 'এক তরফা' বিচার ও সাজার নিন্দা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবী করেন, সরকার হাজার হাজার বিএনপি কর্মীকে 'মিথ্যা' মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে।
“আদালত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, কিন্তু তারা সেখানে বিচার পাচ্ছে না;” রবিবার (১২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ৮ মে দলটির স্থায়ী কমিটির যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল জানান যে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের 'একতরফাভাবে' বিচার ও সাজা দেয়ার প্রক্রিয়ার নিন্দা জানানো হয়েছে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেশের রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকার ২ হাজারের বেশি বিরোধী নেতাকর্মীকে 'মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক' মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের ভবিষ্যৎ "অন্ধকার” বলে বর্ণনা করেন।
“তাদের (সরকার) একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে তারা সংকট কাটিয়ে উঠেছে," বলেন মির্জা ফখরুল।
"গত জাতীয় নির্বাচনের পর সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। আপনারা যদি এখনো এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করেন এবং সংকট মোকাবেলার প্রচেষ্টা না করেন, তবে আপনাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার;” মির্জা ফখরুল বলেন।
আরো অভিযোগ করেন, সরকার দেশে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করেছে।
ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগ
গত ১০ মে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা ও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যারা রাজনীতি করতে পারে, তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
এর আগে, গত ২২ মার্চ এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে।
“বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিলো। সেজন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা খেই হারিয়ে ফেলেছে;” হাছান মাহমুদ আরো বলেন।