হোম পিছনে ফিরে যান

যে রোগে মারা গেছেন অভিনেত্রী সুনেত্রা

rtvonline.com 2024/6/26
সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পেলেও ছিলেন কলকাতার মেয়ে। সেখানেই অভিনয় করতেন মঞ্চে। পরে গুণী নির্মাতা মমতাজ আলী তাকে নিয়ে আসেন এ দেশের চলচ্চিত্রে। এরপর দেখা গেছে সুপারহিট বহু সিনেমার নায়িকা হিসেবে। তবে ১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকী’ সিনেমাটি তাকে এনে দিয়েছিল আলাদা পরিচিতি। সেই চিত্রনায়িকা সুনেত্রা আর নেই। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। জানা গেছে ২০ এপ্রিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৩ বছরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন সুনেত্রা।

এদিকে বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুন) নিজের ফেসবুকে জায়েদ লেখেন, একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবের আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়ত যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেক দিন আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় গিয়েছেন।

তিনি আরও লেখেন,আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজকে হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃতে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখব আর আপনাকে মিস করব।

১৯৮৫ সালে ঝন্টুর হাত ধরে ‘উসিলা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় এই অভিনেত্রীর। এরইমধ্যে পরিচালক শুনেছেন সুনেত্রার চলে যাওয়ার সংবাদ।

তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আজই সামাজিক মাধ্যম থেকে জানলাম সুনেত্রা মারা গেছে। আমার বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছে সে। আমার ‘শিমুল পারুলে’র সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ‘পালকি’সহ আরও ছবিতে কাজ করা হয়েছে তার সঙ্গে। দেখতে সুন্দর ছিল। নাচত ভালো।

এ সময় সুনেত্রাকে নিয়ে ঝন্টু আরও বলেন, সে খুব ভদ্র ছিল। সময়মতো সেটে আসত, যেত। শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলত। আমাদের কথার বাইরে কোনো শট দিত না। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত।

তবে সুনেত্রা কলকাতায় চলে যাওয়ার পর আর কোনোদিন যোগাযোগ হয়নি ঝন্টুর সঙ্গে। কী কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন এ বভিনেত্রী জানেন না ঝন্টু। তিনি বলেন, একদিন হঠাৎ করে শুনি সে চলে গেছে। কী কারণে গেছে জানি না। সম্ভবত ব্যক্তিগত কারণ ছিল। এরপর আর কখনও যোগাযোগ হয়নি।

১৯৭০ সালের ৭ জুলাই কলকাতায় জন্ম অভিনেত্রী সুনেত্রার। তার মূল নাম রীনা সুনেত্রা কুমার। থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। বাংলাদেশি পরিচালক মমতাজ আলী ঢাকাই সিনেমায় নিয়ে আসেন তাকে। ১৯৮৫ সালে ‘উসিলা’ সিনেমায় প্রথম দেখা যায় তাকে। ১৯৯০ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকি’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকমহলে পরিচিতি লাভ করেন সুনেত্রা।

সুনেত্রা অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য―বোনের মতো বোন, যোগাযোগ, ভুল বিচার, সাজানো বাগান, রাজা মিস্ত্রী, ঘর ভাঙ্গা ঘর, কুচবরণ কন্যা মেঘবরণ কেশ, শুকতারা, সুখের স্বপ্ন, রাজা জনি, বাদশা ভাই, ছোবল, ভাই আমার ভাই ইত্যাদি।

People are also reading