হোম পিছনে ফিরে যান

সাটুরিয়ায় সড়ক নির্মাণের চার মাসেই বেহাল

dailyjanakantha.com 2024/10/6

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ

সাটুরিয়ায় সড়ক নির্মাণের চার মাসেই বেহাল
চার মাস যেতে না যেতেই সড়কের পাশে ডেবে গেছে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের সহিমুদ্দিনের বাড়ি থেকে বালিয়াটি সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৪৮০ মিটারের সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৬৪ লাখ টাকা। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এই সড়কটি নির্মাণের চার মাস যেতে না যেতেই দুই পাশের খাল আর পুকুর সড়টি গিলে খাচ্ছে। এ ছাড়াও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কটির দুই পাশ ভেঙে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সড়কটি নির্মাণের সময় সড়কের দুই পাশে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে কাজ শেষ করে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটির এক পাশে রয়েছে পুকুর এবং অন্য পাশে রয়েছে খাল। খাল আর পুকুরপাড় ভরাট না করায় ওই স্থানে ভাঙন শুরু হয়ে ইউডি ব্লক ডেবে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের রক্ষণাবেক্ষণ ও গাফলতির কারণে সড়কটি অল্প দিনেই সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এতে মানিকগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাফি ট্রেডার্স কাজটি পায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু করে ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি কাজ সমাপ্ত করে। এতে ব্যয় হয় ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ২৯২ টাকা। সিডিউল অনুযায়ী, সড়কটি ১২ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে ২ ফুট সোলডাল রাখার কথা। বালু-মাটি ভরাট করায় বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাশের মাটি সরে যাওয়ায় দৃষ্টিনন্দন সড়কটি কয়েক স্থানে ইউডি ব্লক নিচে দেবে গেছে। 
সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলীম বলেন, সড়কের দুই পাশে মাটি ভরানো বাবদ বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। বালু-মাটি ফেলার কারণে বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ার ফলে মাটি সরে যাওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে এবং কিছু স্থানে ইউবি ব্লক দেবে গেছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা সিকিউরিটি জমা রয়েছে।

বিষয়টি ইতোমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। বালিয়াটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচল করে। সড়কটি ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় একটু অসাবধানতায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান। এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল করিম বলেন, গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে সড়কে দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ায় এই অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে পৌরসভার সড়কের কাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা লালমোহন ভোলা থেকে জানান, নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে লালমোহন পৌরসভার সড়ক পুনর্নির্মাণের কাজ। দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে ভাঙাচোরা ছিল সড়কগুলো। বর্তমানে সড়কগুলোর কাজ শুরু হওয়ার সংবাদে পৌরবাসীর মনে স্বস্তি ফিরলেও শঙ্কা জাগাচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি সড়ক ব্যবস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কলিম উদ্দিন মিয়াজী সড়কের কাজ চলছে, সড়কের দু’ধারে ইট গাঁথা হয়েছে।

ছোট ছোট গর্তগুলোতে দেওয়া হয়েছে ইটের টুকরো। তবে ব্যবহৃত ইটগুলো নি¤œমানের বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, সড়কটির কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রামিসা কনস্ট্রাকশন। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ ব্যয় প্রায় এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা। 
স্থানীয় ছালাউদ্দিন, লোকমান, করিমসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘ দুই যুগ পর এই সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। এমন পচা ইট দিয়ে কাজ করছে, এটা চলমান থাকলে একমাসও টিকবে না। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার আসাদ উল্যাহ মেলকার জানান, ওই সড়কের জন্য এখনো কোনো মালামাল পাঠানো হয়নি। সড়কের পুরনো ইটগুলো তোলা হচ্ছে। 
এ বিষয়ে লালমোহন পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী  মেহেদী বলেন, এখন পর্যন্ত ওই সড়কের কাজ শুরু হয়নি। সড়কের দু’পাশে ইটদিয়ে এজিন দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।

People are also reading