লেবাননে হিজবোল্লাহকে মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া লেবাননে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা ইসরায়েলে অনুমোদিত হয়েছে ও বৈধতা পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে তাদের দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও তুরস্ক সকলেই ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধ আরো প্রসারিত হলে তার ফল কী হবে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটাকে ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হিসাবে দেখছি।
ইসরায়েলের গাজায় হামলা করার পর থেকে ইরান সমর্থিত হিজবোল্লাহের সঙ্গে ইসরায়েলের সেনার নিয়মিত সংঘাত চলছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি লেবানন আক্রমণ করে, তাহলে পুরো এলাকায় যুদ্ধ ছড়াবে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর যুদ্ধ ছড়ানোর পরিকল্পনা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করছে, সেটাও দুঃখজনক। লেবানন ও দেশটির মানুষের পাশে দাঁড়াবে তুরস্ক। আমি ওই অঞ্চলের সব দেশের কাছে আবেদন করছি, তারাও যেন লেবাননের পাশে দাঁড়ায়।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বুধবার বলেছেন, ‘আরেকটি যুদ্ধ মানে আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনা অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যাওয়া।’ ইসরায়েল ও লেবাননের নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেছেন। তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধ হলে বিপদ বাড়বে।
বেয়ারবকে জানিয়েছেন, ‘এই যুদ্ধ যাতে না হয়, সেটা আমাদের দেখতে হবে। এখনই দুই দেশের মধ্যে আক্রমণ বাড়ছে। দুই দেশেরই মানুষের বড় অংশ যুদ্ধ চান না।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও হিজবোল্লাহের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ মানে তা আঞ্চলিক যুদ্ধের আকার নেবে। কূটনৈতিক পথেই এই উত্তেজনা কমাতে হবে।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সব জার্মান নাগরিককে লেবানন চেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে। বুধবার তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। পশ্চিমা দেশগুলির নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়ছে। তাই মন্ত্রণালয় সব জার্মান নাগরিককে সতর্ক করে দিচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ
অর্থসূচক/এএইচআর