হোম পিছনে ফিরে যান

রাত ১১টার পর রাস্তার পাশের চায়ের দোকান বন্ধ: ডিএমপি কমিশনার

channelionline.com 2024/5/17

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে। এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে।

রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক (মার্চ) অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

হাবিবুর রহমান বলেন: সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে সেগুলো প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে।

ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলোর প্রতি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন: অনেক সময় দেখা যায়, এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে কর্তব্যরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন। গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে।যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।

কমিশনার বলেন, অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।

ডিএমপি প্রধান বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কোনো কাজ যেন ঢাকা মহানগর এলাকায় না হয়, সেদিকেও সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ধরনের অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।

এর আগে ডিএমপির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর টিম ডিএমপির সদস্যরা যে ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে তা অনন্য নজির হয়ে থাকবে। বড় ধরনের বিপদ থেকে সেদিন আপনারা জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। সেদিন যদি ডিএমপি সফল না হতো তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতো ও দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতো। সেদিন আপনাদের একজন সহকর্মী দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

‘হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলাসহ পরবর্তী সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম ডিএমপির সিটিটিসি-সহ অন্যান্য ইউনিটগুলো মোকাবেলা করেছে’—বলেন মো. আসাদুজ্জামান মিয়া

ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহার সঞ্চালনায় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

People are also reading