হোম পিছনে ফিরে যান

এলো ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘কমিউনিটিজ’

thedhakatimes.com 4 দিন আগে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মধ্যে মেসেজিং অ্যাপ সবার শীর্ষে রয়েছে। এবার মেসেজিং অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তার তালিকায় উঠে এলো ফেসবুক মেসেঞ্জার।

এলো ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘কমিউনিটিজ’ 1

ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন সময় নতুন নতুন ফিচার আনার চেষ্টা করছে মেটার মালিকানাধীন সংস্থা মেসেঞ্জার। এবার মেসেঞ্জারে একসঙ্গে ৫ হাজার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার জন্য ‘কমিউনিটিজ’ ফিচার নিয়ে এসেছে মেটা।

এই ফিচারের মাধ্যমে একই ফেসবুক গ্রুপে না থাকলেও মেসেঞ্জার কমিউনিটিজ গ্রুপে যুক্ত হয়ে অন্যদের সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন এর ব্যবহারকারীরা। সাধারণ মেসেঞ্জার গ্রুপে মাত্র ২৫০ জন সদস্যকে যুক্ত করা যায়। তাই ২০২২ সালে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কমিউনিটি চ্যাটস চালু করেছিলো মেটা।

সম্প্রতি অ্যাপে নতুন গ্রুপ চ্যাট ফিচার রোল আউট করে এই সংস্থাটি। ধীরে ধীরে সব মেসেঞ্জার ইউজারের কাছে পৌঁছে যাবে এই ফিচারটি। যে কোনো ইউজারই এই কমিউনিটি শুরু করতে পারবেন। এই কমিউনিটি পরিচালনা করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাডমিন ফিচারও চালু করা হয়েছে।

এই ফিচারের অধীনেি একজন অ্যাডমিন নতুন মেম্বারদের ইনভাইট করতে পারবেন, তিনি কমিউনিটি চ্যাট তৈরি করতে পারবেন, কমিউনিটি থেকে কাওকে বাদও দিতে পারবেন, কমিউনিটিতে কোনো চ্যাটও ডিলিট করতে পারবেন, কমিউনিটি থেকে বেরিয়েও যেতে পারবেন, কোনো কনটেন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার ক্ষমতাও থাকবে ও কমিউনিটি চ্যাট থেকে কোনো কনটেন্ট মুছেও ফেলতে পারবেন।

প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানায়, এই ফিচারের ফলে অনেকেই লাভবান হতে পারেন। এর মাধ্যমে একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষের সঙ্গে মেসেজিং করা যাবে। মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিবেশীর মধ্যে চ্যাটিংয়ের সুবিধা দিতেই এই ফিচারটি নিয়ে এলো মেটা।

তবে এই ফিচারটি এখনও সবার জন্য চালু করা হয়নি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশে সব অ্যাকাউন্টেই ফিচারটি পাওয়া যাবে। তবে মেটা কমিউনিটিজ ফিচার ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদেরকে সতর্ক থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ হলো, এতে ব্যক্তিগত মেসেজ না দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ হলো এখানে অনেক অ্যাকাউন্ট যুক্ত থাকবে। তাই চ্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা আবশ্যক।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

People are also reading