হোম পিছনে ফিরে যান

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার আশঙ্কা

jaijaidinbd.com 3 দিন আগে
ছবি: যায়যায়দিন

গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ ও মাতামুহুরি নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় কক্সবাজারের চকরিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার কারণে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। ছড়াখাল ও নদী অত্যধিক ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি ও ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে পারছে না। ফলে চকরিয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার অন্তত ৫০টি গ্রামে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় কাবু হয়ে রয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। পাশাপাশি এসব ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে থাকায় যোগাযোগে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

গত শুক্রবার থেকে টানা ৪দিন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে চকরিয়া পৌরসভা, উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীর পানিও বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ছড়াখাল দিয়ে জমে থাকা পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি'র চেয়ারম্যানরা জানান, আমাদের ইউনিয়নগুলো মাতামুহুরী নদীসংলগ্ন। নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ গ্রামে ঢলের পানি প্রবেশ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা-ঘাটসহ অধিকাংশ বসতঘরে পানি উঠেছে।

চকরিয়ার ( ইউএনও ) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় মাঝারি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যা ও নদীভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ভূমি ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলের মৎস্য ঘেরের স্লুইচ গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সার্বক্ষণিক এলাকার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা লোকজনকে সমতলের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিলে মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

People are also reading