হোম পিছনে ফিরে যান

৪ জেলায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে

boishakhionline.com 3 দিন আগে

প্রকাশিত: ০৫-০৭-২০২৪ ১৪:০৭

আপডেট: ০৫-০৭-২০২৪ ১৪:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: উজানের ঢল আর অতিবৃষ্টিতে সিলেট বিভাগের চার জেলায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ কমছে না বানভাসি মানুষের। এদিকে, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরে অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পানিবন্দি লাখো মানুষ। তবে লালমনিরহাট ও ফেনীতে বানের পানি কমেছে। 

উজানে অতিবৃষ্টির প্রভাবে সিলেটের নদনদীগুলোর পানি বেড়েই চলেছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সব পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা নদীর কয়েকটি স্থানে বাধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সিলেট নগরীসহ সবকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে আছে। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় অনেক বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। 

মৌলভীবাজারের সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় পানিবন্দি তিন লাখের বেশি মানুষ। রাস্তাঘাট ডুবে বিঘিœত হচ্ছে যোগাযোগ। 

আগামী দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী  প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল। 

হবিগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে নিুাঞ্চল। রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর ডুবে আছে।সুনামগঞ্জের উচু এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার নিচু এলাকা ডুবে আছে। 

গাইবান্ধার বন্যার আরো অবনতি হয়েছে। সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন।

কুড়িগ্রামে সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে বহু বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ আছে  বলে জানিয়েছে বানভাসী মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধী । লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলায় পানি কমতে শুরু করলেও শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি কমায় ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। 

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, ঢাকায় আপাতত ভারী ও টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, এই সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসলেও আগামী সপ্তাহে আবারও বৃদ্ধি পাবে।

People are also reading