হোম পিছনে ফিরে যান

‘৩ মাসের মধ্যে রিজার্ভ শূন্যতে পৌঁছাবে’

bdnewstimes.com 2024/11/1
NOJRULISLAM

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী তিন মাসের মধ্যে রিজার্ভ শূন্যতে পৌঁছে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বুধবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত ‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘একটি দুঃসময় অতিক্রম করেছে দেশ। সউৎপাদন করার চেয়ে আমদানি করা হচ্ছে বেশি। কমে গেছে রপ্তানি আয়ও। দেশে প্রবাসী আয়ও কমেছে। দেশকে এখন পুরোপুরিভাবে পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। কোনো দিক থেকে আমরা ভালো কিছু দেখছি না। দেশে ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু কোনো বিচার হচ্ছে না। দেশে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে; কিন্তু, সরকার এখন ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমাদের রপ্তানির আয় এখন হুমকির মুখে। আমাদের দেশে গ্যাসের সন্ধান করে মানুষের চাহিদা মেটানোর চেয়ে গ্যাস আমদানি করার দিকে সরকার ঝোক বেশি। এসব কারণে আগামী তিন মাসের মধ্যে রিজার্ভ শূ্ন্যতে পৌঁছে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে লোডশেডিং হচ্ছে; আর অন্য দিকে ক্যাপাসিটির নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই লুটপাটের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। সারা দুনিয়ায় তেলের দাম কমে গেলেও আমাদের দেশে তেলের দাম বেড়ে গেছে। দেশে বেকার সংখ্যা বেড়ে গেছে। জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের গবেষকরা বলছে, প্রতিবছর দেশে গরীবের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু মৃত্যুর হার বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার মানে হলো প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়া। এই সরকার কোনো কিছুর পরোয়া করে না।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এ দেশের সাধারণ মানুষ বড় কষ্টে আছে। আমাদের ১৬ টা চিনিকল ছিল। এখন বর্তমানে মাত্র ৭ টা আছে; কিন্তু, সেগুলোও তেমন ভালো নয়। আমরা আজকে পরনির্ভরশীল হয়ে গেছি। আজকে উৎপাদন করে চাহিদা মেটানোর চেয়ে আমদানি করে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদেশটাকে একেবারে পরনির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছে। যে দেশ পরনির্ভরশীল হয় ঐদেশকে কোনো মতে ভালো দেশ হিসেবে গণ্য করা যায় না। দেশকে বাঁচাতে হবে। যারা দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশে যদি ছাত্র আন্দোলন থাকতো তাহলে হয়তো এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। এই সরকার খুব একটা সুখে নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও খারাপ হয়েছে। দেশে রিজার্ভ কমে গেছে। আমাদেরকে একটা কার্যকর ঐক্য তৈরি করে আন্দোলনে নামতে হবে। একটু বড় ধরনের ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে সরকার।’

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ