হোম পিছনে ফিরে যান

পরকীয়ার অপবাদে আ. লীগ নেতাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

risingbd.com 5 দিন আগে
পরকীয়ার অপবাদে আ. লীগ নেতাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
হযরত আলী। ফাইল ফটো

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পরকীয়ার অপবাদে হযরত আলী (৪৩) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন তিনি। হযরত আলী উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

Google news

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হযরত আলী দীর্ঘদিন ধরে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের শাহ জামালের সঙ্গে গরুর ব্যবসা করে আসছেন। গত ১৭ জুন রাতে জামালের বাড়ি থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। এ সময় আলীর সঙ্গে আরও দুই জন ছিল।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ১৯-২০ জন ব্যক্তি। এ সময় আলীর সঙ্গে থাকা দুই জনের হাত, পা ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ওই এলাকার মাসুম, মামুন খলিফা, সবুর, বশার, এখলাছ, মহায়মিন ও সুধীরপুর গ্রামের মামুন হাওলাদার মারধর শুরু করেন।

একপর্যায়ে আলীকে উলঙ্গ করে রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এ সময় এক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়রা আছে বলে জোরপূর্বক স্বীকার এবং তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে যাওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হযরত আলী বলেন, মারধরের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ওরা ভিডিও করার সময় যা বলতে বলেছে তাই বলেছি। সুধীরপুর গ্রামের মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বেই আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। 

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান অভিযুক্ত মামুন হাওলাদার বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার তালুকদার বলেন, মামলার কপি হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

People are also reading