হোম পিছনে ফিরে যান

টানা বৃষ্টিতে জমে উঠেছে চাঁচড়ার রেণু ও পোনার বাজার

gramerkagoj.com 2024/10/5

প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই , ২০২৪, ১০:৫৫:০০ পিএম

কাগজ সংবাদ:

তীব্র তাপদাহের পর গত কয়েকদিন ধরে যশোরে নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। এতে চাঁচড়া মৎস্যপল্লীতে মাছের রেণু পোনার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও বেড়েছে।
যশোরের বিখ্যাত চাঁচড়া পোনা মাছের বাজারটি দেশের সবচেয়ে বড় পোনা মাছের বাজারগুলির মধ্যে একটি। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে চাঁচড়া বাবলাতলা পোনার বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘদিন তাপদাহের কারণে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছিল। গত কয়েকদিন নিয়মিত বৃষ্টির ফলে মাছের রেণু পোনার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চাঁচড়া মৎস্যপল্লীতে মাছ চাষিদের আবার আয়ের উৎস বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
মাছ চাষিরা বলেন, গত তিন মাস ধরে এ অঞ্চলে অনেকটা অনাবৃষ্টির পাশাপাশি অতিমাত্রার তাপপ্রবাহর কারণে বেকায়দা পরিস্থিতিতে ছিলেন তারা। মাছের প্রজনন মৌসুম অনেকটা অনাবৃষ্টিতে কেটেছে তাদের। সে কারণে সময়মতো তারা মাছের রেণু ও পোনা বিক্রি করতে পারেননি। তাই গত কয়েকদিন ধরে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে বেচাকেনা বেড়েছে।
চাঁচড়া বাবলাতলা পোনা বাজারের ফাহিম মৎস্য খামারের মালিক ফেরদৌস হোসেন ফারুক নামে একজন পোনা ব্যবসায়ীর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় পুকুর ও জলাশয়ে মাছের পোনা ছাড়া যাচ্ছে। এ কারণে বাজারটিতে বেচাকেনা বাড়ছে। ইতিমধ্যে বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, বাগেরহাট, কুমিল্লা, পিরোজপুরসহ দেশের প্রত্যন্ত জেলা থেকে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন।
তবে, পোনা বাজারে আসা ক্রেতারা দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। ক্রেতারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে রেণু পোনার সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু, কাঙ্খিত দামের থেকে অনেকটা বেশি দামে পোনা কিনতে হচ্ছে। প্রতি কেজি গ্লাসকার্প মাছের পোনা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, ব্লাক কার্প ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, জাপানি কার্প ২৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব পোনা কেজিতে কোনোটি ২০০ পিস আবার কোনোটি ৮-১০টাও হচ্ছে বলে তিনি জানান। ক্রেতারা বলেন, এর আগে এমন দামে তারা কখনো মাছের পোনা কেনেননি। এখন বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।
জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, ‘এ বছর মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ, শ্রমিক খরচ যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে তুলনায় বাজারে পোনার দাম সঠিক আছে। তীব্র গরমে পানিতে মাছের ডিম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ স্থানে পুকুর ও জলাশয়ে পানি গরম থাকায় মাছ মরে যায়। ফলে গত এপ্রিলের শুরু থেকে রেণু ও পোনা বেচাকেনা ছিল না বললেই চলে। গত চার মাসে মৎস্য খাতে স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণ হওয়ার মতো নয়। তারপরও শেষ সময়ে মৌসুমি বৃষ্টি পেয়ে আমরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে আশা করছি। এভাবে টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বাজারে মাছের রেণু পোনার সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং পোনার দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’

গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

People are also reading