হোম পিছনে ফিরে যান

মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিতেই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা

risingbd.com 2024/10/6
মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিতেই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা

বন্ধুর মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিতেই তীর্থ রুদ্রকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেন ও কুপিয়ে হত্যা করেন তার বন্ধু তায়হান হোসেন আমান (২১)।

Google news

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনি মাগুরার আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে রোববার (৭ জুলাই) জানিয়েছে পুলিশ।  শনিবার সন্ধ্যায় তার এই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

মাগুরা পৌরসভার আল আমীন ট্রাস্ট মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড় থেকে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে তীর্থ রুদ্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 সে পৌরসভার নান্দুয়ালী পশ্চিমপাড়া এলাকার নিমাই চন্দ্র রুদ্রর ছেলে। তারা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তীর্থ এবার মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।

গ্রেপ্তার তায়হান হোসেন আমান একই কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তায়হান মাগুরা শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল ইসলামের (জিবলু) ছেলে। তায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে নিহত তরুণের মোবাইলফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

এ ছাড়া পৌরসভার কাশিনাথপুর এলাকায় তায়হানের খালার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে শহরের মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে ওই মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাগুরা সদর আমলি আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির আসামি তায়হান হোসেনের বক্তব্য রেকর্ড করেন। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আদালতকে বলেছেন, তীর্থের মোবাইল ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করেছি। ইয়াবা সেবনের কথা বলে তীর্থকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাই। একই সঙ্গে উচ্চমাত্রার চেতনানাশক ইনজেকশন ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসি।

এ ঘটনায় তায়হান একাই জড়িত ছিলেন বলে আদালতে স্বীকার করেছে।

এ বিষয়ে  রোববার মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, তীর্থ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তায়হান হোসেন আমানকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

People are also reading