হোম পিছনে ফিরে যান

সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ, উদ্যেগ নেই সংস্কারের

chandpurtimes.com 2024/10/6
সড়ক

চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ ২টি সড়কে ৩ কিলোমিটার সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। কর্মজীবি ও সাধারণ মানুষ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ সড়কে। মতলব শহরের ম্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে পেন্নাই সড়কের পানির ট্যাংকি এলাকার এবং ম্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে আইসিডিডিআরবির হয়ে মতলব-চাঁদপুর সড়কের কাজলী সিনেমা হল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার। পুরো সড়কজুড়েই বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় এই সড়ক ২টি। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত উল্টে যাচ্ছে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, অটো ও ভ্যান গাড়ী।

গর্তে আটকে পড়ছে প্রাইভেটকার এবং মালবাহী ট্রাক। দেশের অন্যতম চিকিৎসা কেন্দ্র ডায়রিয়া (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালটি মতলবে হওয়ায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ দূর্ভোগকে সঙ্গী করে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করলেও মেরামতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন।

১ জুলাই সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি সড়কের গর্তগুলোর মধ্যে জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে যাত্রী নামিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

পানির টাংকি এলাকার বাসিন্দা মাওলানা আনসার উদ্দিন বলেন দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খারাপ থাকায় গর্তগুলোর মধ্যে প্রায়ই গাড়ী উল্টে পড়ে যায় এতে দূর্ঘটনার শিকার হয় অনেকে।

নবকলস গ্রামের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বিপ্লব বলেন, রাস্তাটি জুড়ে বড় বড় গর্ত হওয়ায় সিএনজি ও অটোরিকশাগুলোতে যাতায়াত করতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়।

মতলব আইসিডিডিআরবিতে রোগীর সাথে আসা ফরিদগঞ্জের মিজানুর রহমান বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে মতলব আইসিডিডিআরবি আসতে মাত্র ২কিলোমিটার সড়ক ভাঙ্গাচুড়ার কারণে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।

মতলব বাজারের অটোরিকশা চালক জসিম উদ্দিনসহ ৫/৭ জন চালক বলেন, ভাঙ্গা রাস্তার কারনে তাদের গাড়ী প্রতিদিনই গেরেজে নিতে হয়। এতে দৈনিক ৮শ থেকে ৯শ টাকা আয় হলেও মেরামতের জন্য ব্যয় হয় ৪শ থেকে ৫শ টাকা। এছাড়া পৌর ট্যাক্সও দিতে হয়।

মতলব পৌরসভার প্রকৌশলী ফেরদৌস হোসেন বলেন, ম্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে পানির ট্যাংকি ও ম্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে কাজলী হল পর্যন্ত চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তারপরও গত ৬ মাস আগে পৌরসভার বরাদ্দ থেকে কিছু সংস্কার করা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ এর মতলব সড়ক উপ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, ঠিকাদারের জটিলতায় ইতিপূর্বে সড়কটির ৩ বার টেন্ডার হয়েছে। বর্তমানে সড়ক ও জনপদের প্রধান কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমতি আসলে শীগ্রই কাজ শুরু করা হবে।

প্রতিবেদক:মাহ্ফুজ মল্লিক, ১ জুলাই ২০২৪

People are also reading