ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। মাঝে-মধ্যেই নিজের ছবি, ভিডিও কিংবা অনুভূতি শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ফেসবুকে নিজের ছেলেকে নিয়ে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী।
শুক্রবার (২৯ জুন) ছিল জাতীয় ক্যামেরা দিবস। এই দিনটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত পরীমনি। হুট করেই ক্যামেরা হাতে এই নায়িকা! বিষয়টি তিনি নিজেই পরিষ্কার করেছেন এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে। পোস্টের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি জুড়ে দিয়ে বলেছেন, আজ বিশ্ব ক্যামেরা দিবস। আমি যার সাথে এই ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তিনি দেশের অন্যতম ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার আদনান আজাদ। আমার বাউণ্ডুলে জীবনের প্রথম জাদুকর, যিনি আমাকে স্থির এবং চরম ধৈর্য্য নিয়ে কোনো কাজে মনোনিবেশ করাতে পেরেছিলেন।সেটা ফটোগ্রাফি! আমি তার মতো এত সাহস নিয়ে সাপ-টাপ-এর ছবি হয়তো তুলতে পারিনি। কিন্তু অনেক প্রজাপতির ছবি তুলেছি। এমন হয়েছে যে একটা ঠিকঠাক ক্লিক করতে আমার ৩-৪ ঘণ্টাও লেগে যেত! এমন এমন প্রজাপতির ছবি তুলেছি, যার নামও আমি জানি না। ছবি তুলে ভাইয়াকে পাঠাতাম।উনি নাম বলে দিতেন।
শুধু ছবি তোলার ঘটনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি পরীমনির এই চর্চা। একটা প্রেমই হয়ে গিয়েছিল। সেই প্রেমটাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ক্যামেরা কিনে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ছবি তোলার প্রেমে পড়ে এক দিনেই ৬টা লেন্সসহ ক্যামেরা কিনে ফেললাম ২০১৮-তে। তার দুই-তিন মাস পরেই ভাইয়া একটা কুমির ফার্মের সব দেখভালের দায়িত্বে চলে যান উখিয়া, কক্সবাজার। তারপর আর কি...! আমিও আমার ক্যামেরা তুলে রেখে দিই আলমারিতে। শেষ।’
২০১৮ সালের পর সেইসব ছবি আপলোড করেছিলেন ফেসবুকে। লাল, নীল, হলুদ সবুজ রংয়ের প্রজাপতির সব ছবি বসে ছিল পরীমনির ফেসবুকের দেয়াল জুড়ে। সেইসব ছবির বুকে নিজের নামও জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ‘পরীমনি ফটোগ্রাফি’ নামের সেইসব ছবি দেখে প্রশংসা করেছেন অনুরাগীরা। একটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও ক্যালেন্ডারে ব্যবহার করতে চেয়েছিল সেই ছবি।
তবে এত দিন পর ছয় বছর আগের ছবির গল্প সামের আসার কারণ শুধুই ক্যামেরা দিবস নয়। পুরনো ক্যামেরার ধুলো ঝেড়ে ছবি তোলায় আবারও মনোযোগি হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, গত দুদিন আমি বনে-বাদাড়ে ঘুরেছি। অনেক ছবি তুলেছি। ভাইয়া (আদনান আজাদ) সঙ্গে ছিলেন। আমার যে ধৈর্য তৈরি হয়েছে, সেটারও একটা পরীক্ষা হয়ে গেছে। এখন আমরা অনেক দারুণ দারুণ ছবি তুলব প্রজাপতি, ফুল আর পাখিদের।
কথা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ শ রকমের প্রজাপতি আছে। আমি সব ধরনের প্রজাপতির ছবি তুলতে চাই। আমার জীবনের এটাও একটা লক্ষ্য বলতে পারেন।
প্রসঙ্গত, পরীমণি সর্বশেষ ‘রঙিলা কিতাব’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের কাজ করছেন। এটি নির্মাণ করছেন ‘দেবী’ খ্যাত নির্মাতা অনম বিশ্বাস। যেখানে পরীমণিকে দেখা যাবে সুপ্তি নামের একটি চরিত্রে। এ ছাড়াও ওপার বাংলার সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।