হোম পিছনে ফিরে যান

গোয়াইনঘাটে ফের বন্যার শঙ্কা, আতঙ্কিত নিম্নাঞ্চলের মানুষ

jaijaidinbd.com 2024/7/8
ছবি: যায়যায়দিন

সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় উপজেলার সকল নদ-নদীর পানি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে গোয়াইনঘাট উপজেলায় পূণরায় তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে দফায় দফায় বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নিম্নাঞ্চলের লোকজন।

জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বিগত ২৮ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩ দিনে মোট ৬৪০মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আগামী ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩ দিনে মোট ৯৬৯মি.মি. বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গোয়াইন নদী (গোয়াইনঘাট পয়েন্ট) বিপদসীমা: ১০.৮২ মিটার- প্রবাহমান: ১০.০৭ মিটার, পিয়াইন নদী (জাফলং পয়েন্ট) বিপদসীমা: ১৩.০০ মিটার-প্রবাহমান: ১২.০০ মিটার। সারি নদী (সারিঘাট পয়েন্ট)। বিপদসীমা: ১২.৩৫ মিটার-প্রবাহমান: ১১.৩০ মিটার।

এমতাবস্থায়, যেহেতু নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী কিছুদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে সেহেতু উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলায় মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ৪৭টি নৌকা মাঝিসহ প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকগণ পূর্বের ন্যায় একযোগে কাজ করবেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলাবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। এছাড়া যে সকল ঘর বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরকে সময় নষ্ট না করে এখনই নিরাপদ আশ্রয়ে তথা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ওয়ার্ড সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকগণ পূর্বের ন্যায় একযোগে কাজ করবেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

People are also reading