হোম পিছনে ফিরে যান

এবার এনবিআরের সাবেক সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

rtvonline.com 2 দিন আগে
দুদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ড. মো. মতিউর রহমান, তার পর আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের পর এবার সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয় বদরুন নাহার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। সাবেক এই কর্মকর্তা তার সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

তিনি সম্পদ বিবরণীতে যে সম্পদের তথ্য দিয়েছেন সেখানে দেখা গেছে তিনি ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৩০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উল্লেখ করে ঢাকা, নরসিংদী ও মুলাদির সাব রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিস, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ৪ জুন মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করার পর তারা কাজ শুরু করেছে।

গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বর্তমানে তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

সর্বশেষ মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।

এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

People are also reading