হোম পিছনে ফিরে যান

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

risingbd.com 3 দিন আগে
নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার
নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ আটক ৭ ডাকাত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লুণ্ঠিত মালামাল ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭ ডাকাত এবং তাদের সহযোগী এক অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Google news

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গভীর রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি শাবল এবং লুণ্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা আগে নির্ধারিত বাড়ি রেকি করতো। তারপর চট্রগ্রামে বসে পরিকল্পনা করে নির্ধারিত স্থানে এসে ডাকাতি করে আবার চট্রগ্রামে চলে যেত।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ডাকাত সর্দার মো. কামাল (৪৫), তার সহযোগী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার সবুজ গ্রামের মো. শামীম (২৫), একই থানার সুজন গ্রামের মো. রায়হান (২৮), ভোলা জেলার ফুলকেইচ্যা গ্রামের মো. মিরাজ (২৫), লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকার মো. শরীফ (২৭), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন (২২), লক্ষীপুরের কমলনগর থানার ইসলামগঞ্জ এলাকার মো. সালাউদ্দিন সবুজ (২৫) ও একই থানার চরজগবন্ধু গ্রামের শ্রাবণ স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান রিপন (৩০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে রায়হান চৌমুহনী এলাকায় অটোরিকশা চালাতো। অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি সে বিভিন্ন এলাকার প্রবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঘরবাড়ি রেকি করে সেগুলোর বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে ডাকাত সর্দার কামালের নিকট দিতো। কামাল চট্রগ্রামে থাকতো। সে রায়হানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে তার অন্য সহযোগীদের নিয়ে নির্ধারিত স্থানে আসতো। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গভীর রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামে ডাকাতি করতে আসে কামাল ও তার দল। এসময় পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে।

এ ছাড়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বেশ কিছু ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের তদন্তে ডাকাত সর্দার কামালের নাম উঠে আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান সনাক্তের কাজ শুরু করে পুলিশ। ডাকাত সর্দার কামালের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, লুণ্ঠনসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত কামাল ও তার দলের বিশদ তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি রায়হানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ উপজেলায় টার্গেটকৃত বাড়িতে ডাকাত কামালের নেতৃত্বে ডাকাতি করে তার দল। ডাকাতিতে অটোরিকশা চালক রায়হানও সরাসরি অংশগ্রহণ করে। এসময় ডাকাতি করা স্বর্ণ তারা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার রিপন স্বর্ণকারের কাছে বিক্রয় করে। পরবর্তীতে ডাকাত সর্দার কামালের ভাষ্যমতে মালামাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতির লুন্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। স্থানীয় এজেন্ট রায়হানের তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্রগ্রামে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করতো। পরে ডাকাত সর্দার কামাল চট্রগ্রাম থেকে দল নিয়ে এসে ডাকাতি করে চট্রগ্রাম চলে যেত।

People are also reading