হোম পিছনে ফিরে যান

বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম, অপরিবর্তিত মাংসের দাম

desh.tv 2024/10/5

বাগেরহাটে বেড়েছে সব ধরনের মাছ ও সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের দাম।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। তবে গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতোই আছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম আকার ও প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। বাগেরহাটের বাজারে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, মেইদ প্রতি কেজি ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, জাবা মাছ ৩৫০ থেকে ৫শ’, তুলার ডাটি মাছ ৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বেড়েছে বাগেরহাটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মাছের দাম। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৪শ’, পাতারি বা ভেটকি ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা। হরিনা চিংড়ি, চামি চিংড়ি, টেংড়া, ফাইস্যার দাম ছিল ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। বর্তমানে এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮শ’ টাকা পর্যন্ত। অস্বচ্ছলদের পছন্দের মাছ বলে খ্যাত পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

অপরদিকে, বাগেরহাটের বাজারে গরুর গোশত ৭৫০, খাসি এক হাজার, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২২০ এবং সোনালী ৩০০ এবং দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব গোশতের দাম গেল এক মাস আগেও এ রকম ছিল।

সরবরাহ কম থাকায়ে বেড়েছে সবজির দাম। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০, বেগুন ১৬০ থেকে ১৭০, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০, করোলা ১০০, কাচা মরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০, লাউ ৪০-৬০, কচুর মুখী ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা থাকলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পুই শাক, লাল শাক, কমলি শাক, লাউ শাক প্রতিটি আটি আগে বিক্রি হতো ১০ থেকে ১৫ টাকা। এখন এগুলো বর্তমানে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সব কিছুর দাম বড়লে হাতের নাগালে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া ও পটল। মিষ্টি কুমরা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ এবং পটল ২৫-৩৫ টাকা।

সবকিছুর দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। কম ক্রয় করে ব্যয় কমানেরা চেষ্টা করছেন তারা। মাছ ক্রেতা মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। সন্তানদের মুখে আমিষ তুলে দেওয়ার জন্য পাঙ্গাস মাছ কিনি। কিন্তু সেই পাঙ্গাস মাছের দামও বেড়েছে কেজিতে ৭০/৮০ টাকা। ১৮০টাকা কেজি দরের সিলভার কার্প মাছ আজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। তেলাপিয়া ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এভাবে মাছের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কপালে আর আমিষ জুটবে না।

মাছবিক্রেতা মো. বাবু বলেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ, তাই মাছের সরবরাহ কম। এজন্য দাম বেড়েছে। সাগরে মাছ চলে আসলে, মাছের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে।

বাজার করতে আসা আলিফ বলেন, বাজারের সবকিছুর দাম দ্বিগুণ। মনুষের পকেটে টাকা নাই, এভাবে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের বেচে থাকা কষ্ট হয়ে যাবে।

মাংস বিক্রেতা মো. আব্দুল সালাম বলেন, মাংসের দাম বাড়ে নাই। তবে ঈদের পরে বেচাকেনা অনেক কম। আগে দুইটা তিনটা গরু জবাই দিতাম, এখন একটা জবাই দেয়, তবুও চলে না। কারণ এখন মানুষের পকেটে টাকা নেই, আবার বৃষ্টির জন্য লোকজন আসে কম।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিয়মিত নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার মনিটরিং করছি। কোথাও অসঙ্গতি পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

আরএ

People are also reading