হোম পিছনে ফিরে যান

আইপিএলে প্লে-অফের লড়াইয়ে এখন যার যেমন সমীকরণ

channelionline.com 2024/11/1

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রাজস্থান রয়্যালস ইতিমধ্যে আইপিএলের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। টেবিলের শীর্ষে থাকা কলকাতার কোয়ালিফায়ারে খেলাও নিশ্চিত। ১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট পাওয়া বলিউড কিং শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুইয়ে থেকে লিগপর্ব শেষ করবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজস্থান রয়্যালস সবার আগে প্লে-অফের টিকিট কাটলেও কোয়ালিফায়ারে খেলা এখনো অনিশ্চিত। প্রথম আসরের শিরোপাধারীদের ১২ ম্যাচে পয়েন্ট ১৬।

প্লে-অফের শেষ দুদল কারা, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। লড়াইয়ে থাকা পাঁচ দল- চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আসর থেকে বিদায় নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট টাইটান্স ও পাঞ্জাব কিংস।

টেবিলে চোখ রাখলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, প্লে-অফের জন্য চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে নেট রানরেট। হায়দরাবাদের হাতে আছে দুই ম্যাচ। প্লে-অফের দৌড়ে থাকা বাকি সব দলের মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে।

সম্ভাবনার বিচারে কোন দলের সম্ভাবনা কতটুকু, তার একটি গাণিতিক হিসাব বের করেছে আইপিএল সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। ক্রীড়াভিত্তিক টিভি চ্যানেলটির দাবি, হায়দরাবাদের প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা শতকরা ৮৭ শতাংশ। চেন্নাই সুপার কিংসের ৭২.৭ শতাংশ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৩৯.৩ শতাংশ।

বাস্তবতার নিরিখে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও কাগজে-কলমের হিসাবে দিল্লি ও লক্ষ্ণৌ এখনো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়নি। যদিও দল দুটির টিকে থাকাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সঙ্গে তুলনা যোগ্য। দিল্লির গাণিতিক সম্ভাবনা ০.৭ ও লক্ষ্ণৌর ০.২ শতাংশ।

চেন্নাইয়ের সমীকরণ: ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট ও +০.৫২৮ নেট রানরেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই। লিগে শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। এই ম্যাচে জিতলে মোস্তাফিজুর রহমানের দল কাটবে প্লে-অফের টিকিট। হারলেও অবশ্য আশা টিকে থাকবে। সেক্ষেত্রে দলটির চাওয়া থাকবে রানরেটে যেন বেঙ্গালুরু তাদের ছাড়িয়ে না যায়। লক্ষ্ণৌ তাদের লিগে শেষ খেলায় জিতলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছাবে। এক্ষেত্রে রানরেটে অনেকটা ভালো অবস্থানে থাকায় প্লে-অফে যাওয়ার জন্য চেন্নাই ফেভারিট থাকবে। হায়দরাবাদ নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হারলে দলটির পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা অনেক সহজ হবে।

হায়দরাবাদের সমীকরণ: অরেঞ্জ আর্মিরা ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট ও +০.৪০৬ নেট রানরেট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে। লিগের শেষ দুই ম্যাচে দলটির প্রতিপক্ষ গুজরাট ও পাঞ্জাব। এই দুই খেলার একটিতে জিতলে দলটি প্লে-অফে যাবে। তবে দুটিতেই হারলে রানরেটে অবনতি ঘটবে। হায়দরাবাদ নিজেদের দুই ম্যাচে যদি হারে, এবং লক্ষ্ণৌ ও বেঙ্গালুরু শেষ ম্যাচটি জেতে, তাহলে রানরেটের উপর তাদের নির্ভর করতে হবে।

বেঙ্গালুরুর সমীকরণ: ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট ও +০.৩৮৭ নেট রানরেট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে থাকা দলটির শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ চেন্নাই। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের ধারায় থেকে বিরাট কোহলির দল প্লে-অফে যাওয়ার আশা জাগিয়েছে। চেন্নাইকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির শুধু হারালেই চলবে না, বড় ব্যবধানে জিতে রানরেটও বাড়িয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে চাইতে হবে হায়দরাবাদের দুই ম্যাচেই পরাজয় অথবা লক্ষ্ণৌ শেষ ম্যাচে যেন খুব বড় ব্যবধানের জয় না পায়।