হোম পিছনে ফিরে যান

বেড়েছে গরুর ক্ষুরারোগ, জনবল সংকটে চিকিৎসা ব্যাহত

protidinersangbad.com 2024/10/6

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর সবচেয়ে সংক্রামক ব্যাধি ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ বা ক্ষুরা রোগ। সম্প্রতি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সহস্রাধিক আক্রান্ত হলেও তিনটি গরু মারা গেছে। ভ্যাকসিন স্বল্পতা ও জনবল সংকটে রোগাক্রান্ত পশুর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল। গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামার মালিক ও কৃষকরা।

উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে এক হাজার ৭৫৭টি গরুর খামার রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর -খরণদ্বীপ ইউনিয়নের খরণদ্বীপ গ্রামে এক মাস আগে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সম্প্রতি ওই রোগে সুজন পালের দুইটি, নুরুল আবছারের একটি গরু মারা গেছে। হঠাৎ আশংকাজনক হারে গরুর এ রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ, জৈষ্টপুরা, আমুচিয়া, আহলা করলডেঙ্গা, চরণদ্বীপ ও কধুরখীলসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু খামারি ও বিভিন্ন কৃষকের প্রায় সহস্রাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

খরণদ্বীপ এলাকার খামারি সুজন পাল জানান, ষাঁড় ও গাভী মিলিয়ে তার খামারে ১৩টি গরু ছিল। এর মধ্যে গত ৭ দিন পূর্বে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে একটি ষাঁড় গরু মারা গেছে। কোরবানি ঈদের ৩ দিন আগে একটি বকনা এ রোগে মারা যায়। এখনো একটি বাছুর অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে। বাকী পশুদের সংক্রমণ এড়াতে প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে।

শ্রীপুর, আমুচিয়া ও করলডেঙ্গা গ্রামের কৃষক জানান, গত কয়েকদিন ধরে এই রোগ দেখা দেওয়ায় চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। যে সকল গরু আক্রান্ত হয়েছে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সরকারিভাবে কোনো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। এ কারণে অনেক খামারী আক্রান্ত বড় গরু স্বল্প মূল্যে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ জানান, প্রতিবছর কোরবানি ঈদের পর গরুর ক্ষুরারোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। কোরবানি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে বেশি গরু আসে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গরু স্থানান্তরিত হাওয়ার কারণে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে উপজেলায় ৩ বছর ধরে প্রাণীসম্পদ হাসপাতালের মূল চিকিৎসক ভেটেরিনারি সার্জন পদ শুন্য। একসঙ্গে একাধিক রোগাক্রান্ত পশু হাসপাতালে আসায় জনবল সংকটের কারণে প্রশাসনিক কাজ ও চিকিৎসার কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

People are also reading