হোম পিছনে ফিরে যান

Chandrayaan-4 | আনা হবে চাঁদের মাটি, এবছরেই লঞ্চ চন্দ্রযান-৪, বড় ঘোষণা ইসরোর

uttarbangasambad.com 2024/7/6

উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের পর এবার চন্দ্রযান-৪ মিশন নিয়ে বড় ঘোষণা করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, এবার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং ফিরিয়ে আনার জন্য যাবে চন্দ্রযান-৪। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষের দিকেই। এই বছরের শেষেই একটি স্পেস ডকিং (স্প্যাডেক্স) পরীক্ষা হতে পারে।

জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-৪ দুটি ধাপে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই উৎক্ষেপণে দুটি মিনি স্যাটেলাইট পৌঁছোবে মহাকাশে। যাদের দু’টি ভিন্ন কক্ষপথে ইনজেক্ট করা হবে। প্রথম ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এলভিএম-৩ এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে পিএসএলভি। চন্দ্রযান-৪-এ পাঁচটি আলাদা আলাদা মহাকাশযান থাকবে। সেগুলির প্রত্যেকটির আলাদা কাজ থাকবে। আলাদাভাবেই সেগুলি উৎক্ষেপণ করা হবে। চন্দ্রযান ৪ নির্দিষ্ট কিছু কাজ নিয়ে যাবে মহাকাশে। যেমন, চাঁদের মাটিতে নিরাপদ, সুরক্ষিত, ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’ করে  চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং তা সংরক্ষণ করা, এর পরে একটি মডিউল থেকে অন্য মডিউলে চাঁদের মাটির নমুনা পাঠানো, চাঁদ থেকে নমুনা সঙ্গে নিয়ে আবার পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করা।

বুধবার নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া স্পেস কংগ্রেসের তরফে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘আমরা চন্দ্রযান-৪ এর কনফিগারেশন এবং কীভাবে চাঁদ থেকে নমুনা পৃথিবীতে আনা যায়, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছি। সব দিক পর্যালোচনা করে তবেই এই মিশন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা একাধিক লঞ্চিংয়ের কথা ভেবেছি এবং সেই মতোই প্রস্তাব রেখেছি, কারণ আমাদের হাতে যে সব রকেট আছে, তা একটি মিশনে যেতে এবং ফিরে আসতে যথেষ্ট সক্ষম নয়। তাই আমাদের স্পেস ডকিং বা স্প্যাডেক্স (দুটি পথক মহাকাশযানের একে অপরকে খুঁজে পাওয়া এবং একই কক্ষপথে স্টেশন হওয়াকে বলা হয় স্পেস ডকিং) করতে হবে।

People are also reading