হোম পিছনে ফিরে যান

শনিবার খুলে দেওয়া হচ্ছে সাভানা পার্ক, বন্ধ থাকবে কটেজ

risingbd.com 4 দিন আগে
শনিবার খুলে দেওয়া হচ্ছে সাভানা পার্ক, বন্ধ থাকবে কটেজ
সংশ্লিষ্ট খবর

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট এ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হবে পার্কটি। তবে, বন্ধ থাকবে সেখানে থাকা কটেজগুলো। পার্কটি তদারকি কমিটির সদস্য সচিব ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান একথা জানান। 

Google news

মশিউর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে এবং ঘুরতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইডও খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কটেজ বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, এই পার্ক থেকে যে অর্থ আয় হবে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আজ বিকেলে পার্ক পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগ করে পার্কটি নিয়ন্ত্রণ নেয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি  রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকির জন্য গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমকে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এর আগে, গত ৭ জুন রাতে গোপনে পার্ক থেকে ধরা ৫৯০ কেজি মাছ বিক্রি করার সময় জব্দ করে দুদক। পরে মাছ বিক্রি করে ৮৩ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয় তারা। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে মাছ বিক্রির দায়ে পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের গোপালগঞ্জে উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান।

এদিকে, গত ১২ জনু রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট এ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও একটি মনিটর চুরি হয়। পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার পাঁচ জনের নাম উল্লেখ এবং নাম না জানা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পার্কের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন।

People are also reading