হোম পিছনে ফিরে যান

নাটোরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে কুপিয়ে জখম, আহত ৭

bonikbarta.net 2024/10/5
সংগৃহীত

নাটোরে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপি এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।

 এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ দলের জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে নৃশংসভাবে হাত ও পায়ে কুপিয়েছে তারা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি নেতা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকেও আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। সমাবেশে যোগ দিতে আসা অসংখ্য নেতাকর্মীকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

কারা হামলা চালিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সিনিয়র নেতারা বলেন, পুলিশবেষ্টিত সমাবেশের মধ্যেই যুবলীগের রাশেদুল ইসলাম কোয়েল, সেলিমের নেতৃত্বে বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হয়। সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে দুপক্ষের নেতা কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। হামলায় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটায় তারা। পরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে নেতা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ইটের আঘাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সমাবেশে হামলার সময় পুলিশ নির্লিপ্ত থাকারও অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন দেওয়ান শাহীন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর কোয়েল, সেলিম বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তারা জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, চপলসহ ৭ জনকে নেতা কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, যারা হামলা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের কেউ না, তারা অতি উৎসাহী, দলে তাদের কোন স্থান নেই। আমরা এজন্য পুলিশকে দায়ী করবো, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার এবং গ্রেফতারের দাবি করছি। 

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।

People are also reading