হোম পিছনে ফিরে যান

গাইবান্ধায় বাঁধ ধসে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

deshersangbad.com 3 দিন আগে
গাইবান্ধায় বাঁধ ধসে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বৃহ¯পতিবার বিকাল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ঘাঘট নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে নতুন ব্রিজ এলাকায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারও মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করে। ফলে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদেও পানি বিপৎসীমার উপরে থাকায় সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষ গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তিস্তার পানি আবারও বাড়তে থাকায় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুরের এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যা এলাকায় বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট এলাকা ধসে যায়। এতে ভরতখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল, খামার পবনতাইড়, হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বেড়া, গাড়ামারা, দীঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী, গুয়াবাডী, কালুরপাড়া, কানাইপাড়া, কুমারপাড়া এবং জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কাঠুর, থৈকরের পাড়া ও পূর্ব আমদির পাড়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের এবং গো-খাদ্যের সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারি বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।

Share this:

Like this:

Like Loading...

People are also reading