রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ঋণের প্রধান মাপকাঠি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢোকার পথ রুদ্ধ করে তথ্যপ্রবাহের গতি বন্ধ করে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে মনে করেন বিরূপাক্ষ পাল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদে কী আলোচনা হয়, তা উন্মুক্ত করতে হবে। সেখানে তো ব্যক্তিগত আলাপ হয় না। ফেডের (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড) যুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফেড বললেই ফেড হওয়া যায় না, আরও কিছু গুণাবলি থাকা চাই।
এশীয় প্রবৃদ্ধি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোকে যখন লাইসেন্স দেওয়া হলো, তখন যুক্তি ছিল—ব্যাংক খাতে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং এ খাত ভালো হবে। কিন্তু পরে দেখা গেল, সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের হার বাড়ছে। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। সমাধানে বহু প্রস্তাবের কথা শোনা গেছে, যার শেষটি হচ্ছে ব্যাংক একত্রীকরণ (মার্জার)।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, দেশে দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চলছে এবং বৃহৎ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী রাষ্ট্রকে আয়ত্তে নিয়ে ফেলেছে। রাজনীতিবিদদের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে এই দুষ্টচক্র থেকে অর্থনীতি, এমনকি দেশ বাঁচানো যাবে না।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশরুর রিয়াজ বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এমন উপলব্ধি আসতে হবে যে ব্যাংক খাতকে আর অপব্যবহার করা যাবে না এবং যারা ঋণ লুণ্ঠন করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।