হোম পিছনে ফিরে যান

সারাদেশে বন্যা পরিস্থির অবনতি

channelionline.com 4 দিন আগে

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোণাসহ ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলসহ প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু নতুন এলাকা। দ্বিতীয় দফা বন্যায় ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা । তবে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ।

টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাঘাটায় সেনালের বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় আসে পাশের বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পরেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে গ্রামীণ কাচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিম্নাঞ্চললের মানুষজনের এখন যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে নৌকা ও কলাগাছের ভেলা। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ী, গ্রামীণ সড়কসহ আমন বীজতলা, পাট ও সবজি জাতীয় মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার পরিবার।

নেত্রকোণায় টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার প্রধান নদী উব্ধাখালি নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। তবে এখনও বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে নতুন করে বারহাট্রার তিনটি ইউনিয়ন ও সদরের একটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের রান্না করা খাবারের পাশাপাশি সংকট দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যের। গ্রামীণ সংযোগ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ না হওয়ায় ও উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কমেছে নদ-নদী ও হাওরের পানি। সেই সঙ্গে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই দফা বন্যায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতিসহ চরম দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে বন্যা কবলিত মানুষজনকে।

সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ৬টি পয়েন্টে বিপদৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর ভারী বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

People are also reading