কারাগারে জায়গা নেই, ফিলিস্তিনি বন্দি ছেড়ে দিচ্ছে ইসরাইল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কারাগারগুলোতে স্থানসংকুলান না হওয়ায় ৫৫ বন্দী ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন আল শিফা হাসপাতালের পরিচালকও। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরাইলের কারাগারে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন তারা।
চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই শত শত ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি বাহিনী। এই সংখ্যা এতই বেশি যে বন্দীদের সঠিক পরিসংখ্যানও নেই কারাকর্তৃপক্ষের কাছে। এই পরিস্থিতিতে অর্ধ শতাধিক বন্দী ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল বাহিনী। ইসরাইলি পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা না থাকায় এসব ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করা হয়েছে।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের শারিরীক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের অনেককে আল-আকসা এবং আল নাসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি বন্দিরা কারাগারে খাবার, পানির অভাবের মধ্যে দিন রাত অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। নির্যাতনের সময় অনেকককেই হত্যা করা হচ্ছে এবং মরদেহগুলোও ঠিকঠাক সমাহিত করা হচ্ছে না।
এদিকে, বন্দি মুক্তি ঘিরে নেতানিয়াহু প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। বন্দীদের মুক্তির এই পদক্ষেপে নিন্দা জানিয়েছে মন্ত্রীসভার সাবেক সদস্য ইতামার বেনগভীর ও বেনি গ্যান্টজ। আর এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এছাড়া, অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংসতা কমছেই না। বর্বর হামলায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার নয়শ’ জনে পৌঁছেছে। সেইসাথে অধিকৃত পশ্চিমতীরের তুলকেরাম শহরেও ইসরাইলি অভিযানে প্রাণহানী ও আটকের সংবাদ পাওয়া গেছে।
অণ্যদিকে, গাজায় যুদ্ধের জেরে উত্তপ্ত লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত। সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় ইসরাইলের ১৮ সেনা আহত হয়েছে। এরপরই লেবাননের দুই শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।