হোম পিছনে ফিরে যান

বন্যায় ১৫ জেলায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

dailyjanakantha.com 2024/10/6

বিশেষ প্রতিনিধি

বন্যায় ১৫ জেলায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা

উত্তরাঞ্চলে চলমান বন্যায় দেশের ১৫ জেলায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারিভাবে তাদের পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের নেতৃত্বে তাদের যাবতীয় সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। সাম্প্রতিক উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দেশের মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চলমান বন্যায় দেশের ১৫ জেলা আক্রান্ত এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত জেলাগুলো মধ্যে রয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার। 
বন্যা আক্রান্ত ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত বরাদ্দও প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সাহায্য প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, পুরো ১৫ জেলায় মানুষ পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যাকবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। কেউ মারা যায়নি। এর মধ্যেই পানিবন্দি মানুষ রয়েছেন। প্রতি দিনই মানুষ এতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা চিহ্নিত করবো। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবিত হতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী মাস আগস্ট কিংবা তার পরের মাস সেপ্টেম্বরও এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তার পরও বিভিন্ন সময় খবর আসে যে কোনো কোনো জায়গায় খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও-যখন যেটা চাচ্ছেন আমরা দিচ্ছি।  পরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বন্যা দুর্গত এলাকায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত। টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জের বন্যা আজ রবিবার সরেজমিনে দেখতে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেটসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যায় স্থায়িত্ব কমিয়ে আনতে সরকার নদী খননের উদ্যোগ নিচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটসহ দেশের উত্তরাঞ্চেলে প্রায় প্রতি বছর বন্যা সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো এই ব্যন্যার স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। নদী খনন করলে এই পানি দ্রুত নেমে যাবে। এতে বন্যার স্থায়িত্ব কমে যাবে।

People are also reading