হোম পিছনে ফিরে যান

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে উন্নয়ন প্রাধান্য পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

channelionline.com 2 দিন আগে

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে অগ্রাধিকার থাকবে দেশের উন্নয়ন।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জার্নাল, স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন শেষে এসব কথা জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সব দেশের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে ভারত সফর করে এসেছেন, সেই সফর ছিলো ফলপ্রসূ। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলাপেও আলোচনা হয়েছিল চীন সফরের বিষয়ে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে, বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মাসেতুসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক স্থাপনা নির্মাণকাজে চীনের অর্থ এবং লোকবল লেগেছে। তাই আগামী সফর নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে চীন আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যে ভূমিকা রেখে আসছে, সেটি বেগবান করতে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।

চীন সফর নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের কখনও কোনও আপত্তি ছিল না। আমরা যখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তখন চীনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি তো চীন যাচ্ছি, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো। এভাবেই বিষয়টি এসেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ জুলাই তিনি বেইজিংয়ে বিজনেস ফোরামে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ১০ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে আর্থিক সহায়তা এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের সময় দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি দলিল সইয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া, সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরের বিশেষ দিকটি হবে বাংলাদেশের জন্য চীনের ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৪০ কোটি ইউয়ানের বেশি ঋণ। এর মধ্যে বাণিজ্য–সহায়তার আওতায় ৫০০ কোটি ডলার ও বাজেট সহায়তার আওতায় ২০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় বাংলাদেশকে ঋণ দেবে চীন।

এর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে যেভাবে টাকা–রুপিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় টাকা–ইউয়ানে লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে।

People are also reading