হোম পিছনে ফিরে যান

গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে

prothomalo.com 3 দিন আগে

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, কমে যাবে সক্ষমতা

গ্যাসের চাপ কম, উৎপাদন ব্যাহত

বিবিয়ানায় মজুত শেষের দিকে

বাপেক্সের মজুত বাড়লেও উৎপাদন বাড়েনি

দেশে বর্তমানে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র তিতাস থেকে উৎপাদন করছে সরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। কৈলাসটিলা ও রশিদপুর থেকে গ্যাস উৎপাদন করে আরেক সরকারি কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মজুত থাকলেও উৎপাদনে পিছিয়ে আছে তারা।

পেট্রোবাংলা ও হাইড্রোকার্বন ইউনিটের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারি পর্যন্ত এসজিএফএলের পাঁচ গ্যাসক্ষেত্র মিলে অবশিষ্ট মজুত আছে ৫ টিসিএফের বেশি। অথচ এখান থেকে দিনে উৎপাদন করা হচ্ছে মাত্র ১১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। ১৪টি কূপ আছে এসব গ্যাসক্ষেত্রে। বিজিএফসিএলের পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র মিলে মজুত আছে প্রায় ৩ টিসিএফ। দিনে তারা উৎপাদন করছে ৫৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট। অবশ্য দুটি কোম্পানি নতুন করে কূপ খননের কাজ করছে, এতে মজুত আরও বাড়তে পারে।

তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) তাদের মজুত বাড়িয়েছে। ২০১০ সালের সমীক্ষা অনুসারে জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের অবশিষ্ট মজুত ৮২৪ বিসিএফ। এরপর তারা আরও তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। যদিও এর কোনোটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়নি। এ ছাড়া সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খনন করে নতুন স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়ায় আগের চেয়ে ২০ বিসিএফ মজুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলে মে পর্যন্ত বাপেক্সের সব গ্যাসক্ষেত্র মিলে অবশিষ্ট মজুত আছে দেড় টিসিএফের বেশি।

জ্বালানিসচিব মো. নূরুল আলম বলেন, এখন ৫০টি কূপ খননের প্রকল্প চলমান আছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি কূপ থেকে গ্যাসের উৎপাদন শুরু হয়েছে। আরও ১০০টি কূপ খনন করা হবে। আগামী দুই থেকে তিন বছরে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন আরও ভালো জায়গায় পৌঁছাবে।

People are also reading