গাজা নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফাতে চলছে শেষ পর্যায়ের লড়াই। তবে এর অর্থ এই নয় যে গাজায় যুদ্ধ শেষ হয়েছে। এই বক্তব্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ চলবে বলে আবারো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ইসরাইলি এক টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত দুটি কাজ করতে হবে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দ্বারা চলমান সামরিক নিরস্ত্রীকরণ এবং একটি বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমি আশা করি যে, এই অঞ্চলের কিছ দেশের সমর্থন নিয়ে প্রক্রিয়াটি সঠিক উপায়ে এগিয়ে নেয়া যাবে।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমি কী কী করতে প্রস্তুত নই সে ব্যাপারে বলব। আমি সেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত নই। আমি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরেও প্রস্তুত নই।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী শিগগিরই লেবাননের সীমান্তে সেনা মোতায়েন করবে। সেখানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি বিনিময় ক্রমেই বাড়ছে।
ফিলিস্তিনের গাজার কোন অঞ্চলই এখন নিরাপদ নয়। দক্ষিণাঞ্চলের ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চলগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। আল-মাওয়াসি ক্যাম্প ঘিরে রেখেছে ইসরাইলি ট্যাঙ্কবহর। এরআগে সেখানে ইসরাইলের হামলায় ২৫ জন নিহত হয়।
এদিকে, গাজা শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি পরিষেবার পরিচালক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উপত্যকার একটি ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলের দাবি, ত্রাণ কেন্দ্রটি হামাস ব্যবহার করত।
উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টিজনিত কারণে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মৃত শিশুর সংখ্যা ৩১ এ পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, গাজার যুদ্ধ এবং লেবানন সীমান্তে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ওয়াশিংটন সফর শুরু করছেন।