পালিয়ে গেছেন জঙ্গি সদস্যরা, সাড়ে তিন ঘণ্টার অভিযানে তিনটি বোমা উদ্ধার
গত ৮ ও ৯ জুন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নে জঙ্গি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অভিযানের সঙ্গে রূপগঞ্জের এই অভিযানের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান ছানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, রূপগঞ্জের চারতলা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি সদস্যরা নেত্রকোনার ওই আস্তানায় আসা-যাওয়া করতেন। গতকাল সোমবার নেত্রকোনার ওই আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া এক নারী জঙ্গি সদস্যকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের বরপা এলাকার বাড়িটিকে জঙ্গি আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা হবে বলে জানান ছানোয়ার।
বাড়ির পাশের একটি মাঠে কথা হয় বাড়িটির নিচতলার ভাড়াটে মো. শাহনেওয়াজের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করেই বাড়িটি পুলিশ ঘিরে ফেলে। পরে জানতে পারি বাড়িটিতে জঙ্গি রয়েছে।’ শাহনেওয়াজ জানান, প্রায় তিন মাস আগে ৪০-৪২ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি ভবনটির তিনতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ফ্ল্যাটটিতে দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ তিনি থাকতেন। বিভিন্ন সময় আলাপে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায় ওই ব্যক্তি চাকরি করেন। তিন দিন ধরে ওই ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ বলে জানান তিনি।
বাড়ির মালিক জাকির হোসেনের স্ত্রী বকুলি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এমন ঘটনায় হতবাক ওই বাড়ির আরেক ভাড়াটে রাসেল হোসেন। প্রথম আলোকে জানান, বাসা ভাড়া নেওয়া ওই ব্যক্তি সবার সঙ্গেই হাসিমুখে কথা বলতেন। তাঁর তিন বছর ও তিন মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশী হলেও কখনোই তাঁদের কক্ষে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। তাঁর পাশের কক্ষেই যে এমন শক্তিশালী বোমা তৈরি হচ্ছিল, তা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি রাসেল।