হোম পিছনে ফিরে যান

সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

rtvonline.com 2024/7/3
সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে লালু ওরফে লালনের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন ভাতা, সরকারি ঘর, গর্ভকালীন ভাতা ও সাবমার্সেবল পাম্প পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের তালিকায় রয়েছেন ভিক্ষক, প্রতিবন্ধী, কাজের বুয়া ও অসহায় অনেক পরিবার।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ৫ ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর স্ত্রী ভিক্ষুক সালেহা খাতুনের নিকট থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত লালু। মাসের পর মাস চলে গেলেও সে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়নি। এমনকি ভিক্ষা করে জোগাড় করা তিন হাজার টাকাও ফেরত দেননি।

একই গ্রামের আফসার আলীর স্ত্রী ছানু খাতুন। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবনযাপন করেন। তাকে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রতারক লালু। টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনিও লিখিত অভিযোগ করেছেন। একইভাবে উপজেলার পাগলা গ্রামের মৃত রিফাতের ছেলে দুলাল শেখের নিকট থেকে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ১২ হাজার টাকা, রঘুরামপুরের ইকাব্বর আলীর নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা, পাগলা গ্রামের মায়া খাতুনের নিকট থেকে ঘরের কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছেন লালু ওরফে লালন।

রঘুরামপুর গ্রামের ছদর মৃধা বলেন, ‘আমার পুত্রবধূর নামে গর্ভবতী ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে লালু ৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। আজ বছর পার হলেও সে টাকাও ফেরত দিচ্ছে না, কার্ডও করে দিচ্ছে না। টাকা চাইলে আমাদের হুমকি দেয়।’

একই এলাকার সাহাদৎ ও বাবু জানান, লালু এলাকার ১৫ থেকে ২০ জন অসহায় ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছে। লালু উপজেলার প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে ভাতার কার্ড ও ঘর দেওয়ার কথা বলে এ টাকা আত্মসাত করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত লালু ওরফে লালন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।’

ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিন্চু বলেন, ‘এলাকার লোকজন আমার নিকট লালুর বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠিয়েছি। স্যারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারদের যথাযথ সহযোগিতা করা হবে। বর্তমানে ভাতা প্রাপ্তিতে কোনো অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই। অর্থ আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

People are also reading