হোম পিছনে ফিরে যান

অতিরিক্ত কান্না করায় শিশুকে হত্যা করলো মা, বাবা ফেলে আসলেন খালে

dailyjanakantha.com 5 দিন আগে
অতিরিক্ত কান্না করায় শিশুকে হত্যা করলো মা, বাবা ফেলে আসলেন খালে 
অতিরিক্ত কান্না করায় নুসরাত জাহান তিথি নামে ৬ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত কান্না করায় নুসরাত জাহান তিথি নামে ৬ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন মা। সোমবার (১ জুলাই) ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বড়িশল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত নিহত শিশু নুসরাত জাহান তিথির মা স্বপ্না বেগম ও বাবা জিল্লুর রহমানকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখান ১৬৪ ধারায় জবাবন্দিতে হক্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তারা স্বীকার করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আদালতের জবানবন্দিতে মা স্বপ্না বেগম জানান, গত ৩০ জুন গভীর রাতে বাচ্চা অতিরিক্ত কান্না করায় বিরক্ত হয়ে নিজের ৬ মাসের কন্যা নুসরাত জাহান তিথির মুখে গামছা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তিথি মারা যায়। এরপর বাবা জিল্লুর রহমান বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির পাশের এক খালে ফেলে দেয় এবং শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। 

ঘটনার বরাত দিয়ে ওসি আসলাম বলেন, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বড়িশল গ্রামের জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগমের ৬ মাস বয়সী কন্যা শিশু তিথি নিখোঁজ হয়েছে বলে থানায় একটি ডায়েরি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বাড়ির আশপাশে তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে শিশুটির মরদেহ বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে মা স্বপ্না বেগম হত্যাকান্ডের বিষয়টির সাথে তার ও তার স্বামীর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। 

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত বাবা ও মা শিশুটিকে হত্যা ও লাশ গুমের পেছনে জড়িত স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এই দম্পতির আরও দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। তাদের ১০ বছরের আরেকটি মেয়ে রয়েছে।

People are also reading