নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারকে উন্নত করছে ন্যাটো
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার সর্বশেষ বক্তব্য ও মহড়ার কথা উল্লেখ করে ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পশ্চিমাদের ওপর বর্তমান নিরাপত্তা হুমকির মুখে ন্যাটো জোট তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা আরও উন্নত করছে। বুধবার (১২ জুন) ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের দুই দিনবাপী বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন ন্যাটো প্রধান। এসময় পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারকে উন্নত করতে জোটের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পরমাণু অস্ত্রকে ন্যাটোর ‘চূড়ান্ত নিরাপত্তা গ্যারান্টি’ এবং শান্তি রক্ষার উপায় বলে অভিহিত করেন স্টলটেনবার্গ।
যদিও এ বিষয়ে সবাই অবগত যে, ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে পারমাণবিক বোমা স্থাপন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ন্যাটো খুব কমই পশ্চিমা পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে থাকেন।
ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রাগারের ‘চলমান অভিযোজন’ নিয়ে আলোচনার সময় স্টলটেনবার্গ বলেন, জুন মাসে নেদারল্যান্ডস প্রথম এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে তার পারমাণবিক অস্ত্রগুলোর আধুনিকীকরণ করছে।
ন্যাটোর পারমাণবিক সক্ষমতা ঘিরে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপের কথাও বর্ণনা করেছেন জোটটির প্রধান। তিনি বলছিলেন, ‘গত বছর এবং মাসগুলোতে আমরা রাশিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে একটি বিপজ্জনক বক্তব্য শোনেছি এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও কিছু অনুশীলন ও পারমাণবিক মহড়া প্রত্যক্ষ করছি।’
মঙ্গলবার বেলারুশিয়ান সেনাদের সঙ্গে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার দ্বিতীয় ধাপ অনুশীলন করেছিল রাশিয়া। রাশিয়া বলেছিল, পশ্চিমা শক্তির কাছ থেকে পাওয়া হুমকির মুখে এই মহড়া করেছিল তারা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠায় রাশিয়া। এর পর থেকে বারবার কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়ে বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। পশ্চিমা সরবরাহকৃত এই অস্ত্রের মধ্যে কিছু কিছু রুশ ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের আধুনিকীকরণের কথাও উল্লেখ করেছেন স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, কয়েক বছরের মধ্যেই বেইজিং পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়াবে এবং সেগুলোর অধিকাংশই ন্যাটো অঞ্চলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।