নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আবদুল খালেক ওরপে খাজা মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত খাজা মিয়া সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চররশিদ গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ৫ সন্তানের বাবা ছিলেন।
রোববার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের নিহতের নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ খাজা মিয়া নিজ বাড়িতে স্ত্রীসহ বসবাস করেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও তিনি স্থানীয় কাঞ্চন বাজার থেকে প্রতিবেশীদের সাথে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তিনি আর ঘরে আসেননি। রোববার (৭ জুলাই) সকালে তার স্ত্রী ফজর নামাজ পড়তে উঠলে স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে স্বামী খাজা মিয়ার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতের মেজো ছেলে মো. ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, বাবা খুবই সহজ সরল লোক ছিলেন। তার সাথে কারো বিরোধ ছিলোনা। কে বা কাহারা তাকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করেছে? এখন পর্যন্ত হত্যার কোনো কারণ তাদের জানা নেই।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এখনো নিহতের স্বজনেরা কোনো অভিযোগ করেনি। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ ক্লু-লেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।
এমএ