হোম পিছনে ফিরে যান

বৃষ্টিতে বাড়ছে বন্যার পানি, সিলেটে ঘরবন্দি সাড়ে ৬ লাখ মানুষ

banglatribune.com 2024/10/6

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী অধিকাংশ উপজেলা। একই সঙ্গে সিলেট নগরের কিছু এলাকায় সুরমা নদীর পানি উপচে প্রবেশ করায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বর্তমানে সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি। 

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪২ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯, শেওলা পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুরে ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সারি, সারিগোয়াইন ও লোভা নদীর পানি কিছুটা কমেছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, তৃতীয় দফায় জেলার সব কটি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ৯৪টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৯২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৫ জন মানুষ। প্রস্তুত রয়েছে ৬৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ হাজার ৮২৮ জন মানুষ।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ওমর সানি বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের সব কটি উপজেলা আক্রান্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে বন্যায় এ পর্যন্ত সিলেটে কোথাও প্রাণহানির খবর পায়নি জেলা প্রশাসন।’

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

People are also reading