হোম পিছনে ফিরে যান

ব্রাহ্মণডোরা ইউপি চেয়ারম্যান জজ মিয়ার বিরুদ্ধে ১০ মেম্বারের অনাস্থা

dainiksylhet.com 4 দিন আগে

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুসাইন মো: আদিল জজ মিয়া কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন বরাদ্দ লুটপাটের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন ১০ জন মেম্বার।

৩০ জুন দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ব্রাহ্মণডোরা

ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ দিলকুশ মিয়ার নেতৃত্বে মেম্বার মোঃ মোহন মিয়া, মোঃ সাদেক হুসেন, মহিবুর রহমান রাতুল, ছালেক মিয়া, ঝিনুক আক্তার, মোঃ লুৎফুর রহমান, মোমেনা খাতুন, রেখা আক্তার, সৈয়দা রিনা আক্তার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন- আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ ১১নং ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুসাইন মো: আদিল জজ মিয়ার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অনিয়ম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বরাদ্দ লুটপাট, ভুয়া প্রকল্প দাখিলের মাধ্যমে একক সিদ্ধান্ত কায়েমের জন্য আমরা উনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অনাস্থা দাবি জানাচ্ছি।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ৭টি পূজা মন্ডপে দেওয়া রাজস্ব তহবিলের ৪০ হাজার টাকা পূজা মন্ডপে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। ইউনিয়নের বরাদ্দ আসলে পরিষদের মাসিক সভা না ডেকে পরিষদে উপস্থিত না হয়ে নিজের বাড়িতে বসে একক সিদ্ধান্তে সুবিধামত গ্রহণ করেন প্রকল্প। বিভিন্ন বরাদ্দ সমন্বয় না করে ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য কামাল মিয়াকে নিয়ে সকল প্রকার বরাদ্দ মনগড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ইউনিয়নের বসতবাড়ির উপর নির্ধারিত কর আদায় না করে তার সুবিধামত কর আদায়কারী নিয়োগ করে নির্ধারিত ফি অধিক হারে বেআইনিভাবে জনগণকে ঠকিয়ে কর আদায় করে থাকেন। প্রত্যেক পরিবারকে স্মার্টহোল্ডিং কার্ড বাবদ আলাদা প্রতি ঘর থেকে ২০০ টাকা আদায় করেন। এখানে ১ মাসের মধ্যে কার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১বছর যাবত কোনো কার্ড দেননি। এ কারণে জনসাধারণের কাছে (আমরা) সদস্যরা হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সদস্যদের অজান্তে প্রত্যেক সদস্যের নামের স্বাক্ষর সীল অবৈধভাবে সচিবের কাছে পাওয়া যায়। বিল্ডিং অনুমোদনের ফি মাসিক সভায় রেজুলেশন করে নির্ধারিত হলেও অধিকাংশ বিল্ডিং অনুমোদন ফি গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করে সরকারি ফান্ডে জমা না রেখে ব্যক্তিগত পকেটে রেখে সরকারি টাকা রাজস্ব আত্মসাত করেন। তহবিলের অর্থ ভুয়া প্রজেক্ট দেখিয়ে আত্মসাৎ এবং কিছু কিছু প্রকল্প নামমাত্র করে ও কিছু প্রকল্প একেবারে না করে সরকারি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে প্রাণ আরএফএল কোম্পানী কর্তৃক মাটি ভরাট খেলার মাঠে গোলপোস্ট তৈরি হয়। এখানে চেয়ারম্যান এ মাঠের জন্য কয়েকটা ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক লাখ সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অলিপুর বাজার উন্নয়নের নামে ভুয়া প্রকল্প গ্রহণ পূর্বক পরিষদের রাজস্ব তহবিলের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। গত উপজেলা নির্বাচনে আমরা সদস্যগণ কোন এক পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি বলে হুমকি প্রদান পূর্বক চেয়ারম্যান আমাদের কোনো প্রকার বরাদ্দ দিবেন না বলে খারাপ ব্যবহার করেন।

২০১৮- ২০১৯ অর্থ বছরে বাখরপুর মেরাশানী শাহ জাঙাল রাস্তা থেকে মেরাশানী কবর স্থান পর্যন্ত ইটসলিংয়ে উন্নয়ন এক লাখ টাকা প্রকল্প না করিয়ে আত্মসাৎ করেন। ২০২২-২০২৩/২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষ টাইলস দ্বারা মেরামত ও উন্নয়নের আত্মসাৎ করেন দুই লাখ টাকা। গত ১মাস যাবত আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ গত অর্থ বছরের ইউনিয়নের আয় ব্যয় হিসাব মৌখিকভাবে চাইলেও এখন পর্যন্ত হিসাব দিচ্ছেন না। ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনের ভিতর রাতে অন্ধকার রেখে বাহিরে আলো ছড়িয়ে ২য় তলার রুমের ভিতর খারাপ ও নেশাগ্রস্ত লোক নিয়ে রাত কাটান। যাহা এলাকার জনগণের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া থাকা স্বত্তেও ভয়ে কেউ কিছু বলেন না। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার মিতা জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

People are also reading