হোম পিছনে ফিরে যান

গাইবান্ধায় বন্যার কারণে ৬৩ স্কুল বন্ধ।

deshersangbad.com 3 দিন আগে
গাইবান্ধায় বন্যার কারণে ৬৩ স্কুল বন্ধ।

বায়েজিদ গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধায় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চলের ৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত আটটায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৭ টি, ফুলছড়িতে ১৪টি, সাঘাটায় ২১টি, সুন্দরগঞ্জ ১১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না। এমনই ৬৩টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এসব স্কুল পাঠদান শুরু করা হবে।

জানা যায়, কয়েক দিন ধরেই নদনদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ,ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়নে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২৮ হাজার মানুষ।

তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট বাদাম ও শাকসবজি সহ বিভিন্ন ফসল। তলিয়ে গেছে গ্রামের কাচা রাস্তা। পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তা মুখ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে বিপদসসীমায় ১৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

People are also reading