হোম পিছনে ফিরে যান

সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ

news24bd.tv 2024/10/6
সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ

চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নীলক্ষেত থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এর ফলে মুহূর্তেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘চাকরি পেতে, স্বচ্ছ নিয়োগ চাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা বাতিল ঘোষণা করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ছাত্র সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষ শ্রেণিকে যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।

সায়েন্সল্যাব এলাকায় আন্দোলনের ফলে নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যবমুখী সড়ক, শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যবমুখী সড়ক, ধানমন্ডি থেকে সায়েন্সল্যবমুখী সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এসব সড়কে আটকে থাকা যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ অনেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে আটকা পড়েছেন। মৌমিতা বাসচালক মামুন বলেন, কিছুই জানি না। গাড়ি নিয়ে সায়েন্সল্যাব আসতে দেখি রাস্তা বন্ধ। এখানেই প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়ায়ে আছি। কখন ছাড়বে জানি না।

পরিবারসহ প্রাইভেটকারে শ্যামলী যাচ্ছিলেন সুরাইয়া বেগম। যানজটে তিনিও আটকা পড়েছেন। সুরাইয়া বলেন, বাচ্চাদের দিয়ে শ্যামলী আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি, মাঝ রাস্তায় আটকা পড়লাম। সামনে পেছনে কোথাও যেতে পারছি না। ভোগান্তিতে পড়ে গেলাম।

গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

পরে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
 

People are also reading