হোম পিছনে ফিরে যান

Coochbehar | কমবে কোচবিহার–কলকাতা দূরত্ব, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে রেলপথ চালুর দাবি

uttarbangasambad.com 2024/10/5
Railways
প্রতীকী ছবি

গৌরহরি দাস, কোচবিহার: কোচবিহার থেকে কলকাতা (Coochbehar-Kolkata Train) যাতায়াতে বাংলাদেশের ভিতর লালমণিরহাট, রংপুর দিয়ে পুরোনো রেলপথ (Railway) ফের চালুর দাবিতে কোচবিহারের নতুন সাংসদ (Coochbehar MP) জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (Jagadish Chandra Barma Basunia) সরব হলেন। বিষয়টি তিনি শীঘ্রই সংসদে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। এই পথে রেল চালু হলে কোচবিহার থেকে কলকাতার দূরত্ব ছয়–সাত ঘণ্টা কমে যাবে বলে তিনি জানান। সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনায় বিভিন্ন রেলপথ নিয়ে কথা হয়েছে। তবে তাতে এক সময় কোচবিহারের (Coochbehar) গিতালদহ থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা যাওয়ার রেলপথ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এই অবস্থায় সাংসদ যে দাবি তুলেছেন তা বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জগদীশবাবু বললেন, ‘গিতালদহ থেকে বাংলাদেশ হয়ে শিয়ালদা পর্যন্ত রেলপথ চালুতে কোচবিহারবাসীর দীর্ঘদিন ধরেই দাবি রয়েছে। এক সময় এই রুটে রেল চলত। গিতালদহে একটি অফিসও রয়েছে। গিতালদহ থেকে রংপুর, লালমণিরহাট হয়ে কলকাতা পর্যন্ত এই রেলপথটাকে আমরা  শিয়ালদা পর্যন্ত চালু করার চেষ্টা করছি। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে আমরা সংসদে আলোচনা করব।’

কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেলপথের প্রায় ৩৫০–৪০০ কিলোমিটার একটা সময় বাংলাদেশের মধ্যে ছিল। এই রুট দিনহাটা, গিতালদহ হয়ে বাংলাদেশের মোগলহাট, লালমণিরহাট, কাউনিয়া, রংপুর, পার্বতীপুর হয়ে কলকাতা পর্যন্ত চলে যেত। এই পথটির মোট দূরত্ব ছিল ৫২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে কলকাতা থেকে পার্বতীপুরের দূরত্ব ছিল ৪০৬ কিলোমিটার। অপরদিকে কলকাতা থেকে রওনা হওয়া ট্রেনটি কাঁচরাপাড়া, রানাঘাট হয়ে দর্শনা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পার্বতীপুর হয়ে রংপুর, কাউনিয়া, লালমণিরহাট, মোগলহাট দিয়ে গিতালদহ, দিনহাটা হয়ে কোচবিহারে আসত। বহু বছর হল এই রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট সাহিত্যিক দেবব্রত চাকী বললেন, ‘এই রেলপথ চালু হওয়া খুব জরুরি। এটি চালু হলে দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের সঙ্গেও উত্তরবঙ্গের মানুষের ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।’

বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সংবাদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সাংসদ এই রেলপথ নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার পাশাপাশি কোচবিহারে স্পোর্টস হাব নিয়ে বিজেপির ভূমিপুজোর প্রশ্ন তোলেন। ওই প্রকল্পের জন্য সত্যিই কোনও বরাদ্দ হয়েছিল কি না, হলেও সেই টাকা কোথায় গেল বলে প্রশ্ন তাঁর। এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রকের মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবেন বলে জগদীশবাবু জানিয়েছেন।

People are also reading