হোম পিছনে ফিরে যান

নোয়াখালীতে অস্ত্র ও স্বর্ণালংকারসহ ৮ ডাকাত আটক

bbarta24.net 3 দিন আগে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এক সহযোগিসহ ৮ ডাকাতকে আটক করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার মেশিন, ১টি শাবল জব্দ করা হয়। ডাকাতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক স্বর্ণকারকে আটক করে ডাকাতি হওয়া ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

৫ জুলাই, শুক্রবার দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম।

আটককৃতরা হচ্ছেন ডাকাত সর্দার কামাল, তার সহযোগী শামীম, রায়হান, মিরাজ, শরীফ, হেলাল উদ্দিন, সালা উদ্দিন সবুজ, রায়হান ও স্বর্ণকার রিপন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গভীররাতে মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের এসে একত্রিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর জানতে পেরে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে লালপুর গ্রাম থেকে ডাকাত কামাল ও তার দলের আরও ৮জনকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে আটককৃত ডাকাতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন স্বর্ণকারকে ডাকাতি হওয়া স্বর্ণসহ আটক করা হয়। রিপন ডাকাতি হওয়া স্বর্ণ কেনাবেচা করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ আরো জানায়, গত কয়েকদিন আগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পাশে সিরাজ মিয়ার বাড়ির রুহুল আমিন মিয়ার টিনশেড ঘরের ভিতর অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত প্রবেশ করে লোকজনদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ডাকাতি করে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সংঘবদ্ধ এ ডাকাত দলকে আটকে অভিযানে নামে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েকজন ডাকাতকে চিহ্নিত করে এবং তাদের দলের প্রধান সদর উপজেলার মাইজচরা গ্রামের ডাকাত কামাল বলে নিশ্চিত হয়। এরই মধ্যে গত ২৯ জুন রাতে মিরওয়ারিশপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতরাতে ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদের আটক করা হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

বিবার্তা/সবুজ/লিমন

People are also reading