বাগেরহাটে মাছ চাষিকে কুপিয়ে টাকা লুট
বাগেরহাটের চিতলমারীতে লতিফ শেখ (৫০) নামে এক মাছ চাষিকে কুপিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাখরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সুরিগাতি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার লতিফ শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাদোখালি গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের ছেলে। ঘটনার সময় লতিফ শেখের চাচাতো ভাই ভ্যানচালক মুকুল শেখ সঙ্গে ছিলেন।
ভ্যানচালক মুকুল শেখ বলেন, ফলতিতা থেকে লতিফ শেখকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে সুরিগাতি স্থানে পৌঁছালে চৌদ্দহাজারি গ্রামের মানিকসহ ৭-৮ জন আমাদের ভ্যান আটকে দেয়। পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা লতিফ শেখকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। সঙ্গে আমাকেও লাঠি দিয়ে পিটায়। এক পর্যায়ে লতিফ শেখকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়। এসময় তার কাছে থাকা মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে যায় তারা। পরে তাকে আমি বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লতিফ শেখের সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী কারিমা আক্তার বলেন, ২০২৩ সালের ২০ মার্চ চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌদ্দহাজারি গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে মানিক শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মানিক শেখ নেশা করে তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে তার বোন বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরই প্রেক্ষিতে দুই মাস আগে স্থানীয়দের নিয়ে শালিসের মাধ্যমে তাদের তালাক হয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে মানিক লতিফ শেখসহ স্ত্রীর আত্মীয়দের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরই জেরে তাকে হামলা করে গুরুতর আহত করে।
কারিমা আক্তার আরও বলেন, তার স্বামীর পায়ে এত বেশি কুপিয়েছে যা বর্ণনা করার মতো না। কোনোভাবেই রক্ত থামানো যাচ্ছে না। স্বামীকে মারধরের বিচার চান এই নারী।
এ বিষয়ে মানিক শেখ বলেন, আমার সাবেক স্ত্রীর তালাক নিয়ে তাদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা ছিল। তিনি এই মারধর করেননি বলে ফোনটি রেখে দেন।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, মারধরের বিষয়টি এখনও জানা নেই। খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ