হোম পিছনে ফিরে যান

ক্রিমিয়া নিয়ে উত্তেজনা, মার্কিন ও রুশ প্রতিরক্ষা প্রধানদের ফোনালাপ

banglatribune.com 5 দিন আগে

অধিকৃত ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ফোনে আলাপ করেছেন মার্কিন ও রুশ প্রতিরক্ষা প্রধানরা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) টেলিফোনে দুই শক্তির মধ্যে বিরল এই যোগাযোগ হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের পর এই ধরনের প্রথম কল ছিল এটি। এর আগে, সপ্তাহান্তে হওয়া এই হামলার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করেছিল মস্কো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

ফোনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ও রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ কথা বলেছেন। তিনি মে মাসে সের্গেই শোইগুকে স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন।

কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাপকভাবে ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ দিয়েছে দুই পক্ষ। পেন্টাগন জানিয়েছে, অস্টিন ও বেলোসভ উন্মুক্ত যোগাযোগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র বিমান বাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার সাংবাদিকদের বলেছেন, অস্টিন কথোপকথন শুরু করেছিলেন। ২০২০ সালের মার্চের পর রাশিয়ার সঙ্গে এটিই এ ধরনের প্রথম কল।

অবশ্য রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ২৮ মাস পুরনো এই যুদ্ধে ইউক্রেনে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার বিপদ নিয়ে অস্টিনকে সতর্ক করেছিলেন বেলোসভ।

ফোনেকলে আলাপের পর টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে প্রকাশ করা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে মার্কিন অস্ত্রের ক্রমাগত সরবরাহ করার কারণে যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন এআর বেলোসভ ।’

১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এতে করে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কের আরও অবনিত হয়।

গত সপ্তাহে মস্কো বলেছিল, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ এখন ‘একেবারে সর্বনিম্ন স্তরে’ রয়েছে।

সপ্তাহান্তে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে করা ইউক্রেনের হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দায়ী ছিল বলে দাবি করেছিল রাশিয়া। সেখানে পাঁচটি মার্কিন সরবরাহকৃত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছিল ইউক্রেন। এতে চারজন নিহত হন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে পেন্টাগন বলেছিল, ইউক্রেন তার লক্ষ্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয়।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে অধিভুক্ত করে রাশিয়া। এটিকে তার ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে দেশটি। যদিও বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এই সংযুক্তির নিন্দা করেছে। কৃষ্ণ সাগর উপদ্বীপকে তারা ইউক্রেনের অংশ হিসেই স্বীকৃতি দেয়।

People are also reading