হোম পিছনে ফিরে যান

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু, আহত ৩৭

comillarkagoj.com 2024/10/6

বগুড়ায় রথযাত্রার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার কুলুপাড়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র কুমারের ছেলে অলক কুমার সরকার (৪২), বগুড়া সদরের তিনমাথা রেলগেট এলাকার লঙ্কেশ্বরের স্ত্রী আতশি রানী (৪০), শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল গ্রামের রঞ্জিতা মোহন্ত (৬০) ও আদমদীঘি উপজেলার কু- গ্রামের নরেশ মোহন্ত (৬০)। অপর এক নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকাল ৫টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে রথের চূড়াটি সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। এতে আগুন ধরে যায়। এ সময় রথের ওপরে এবং নিচে বসে থাকা অন্তত ২৫ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচ জনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।’
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্রী বলেন, ‘রথের চূড়াটি বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চার জন ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন মারা যান। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আমরা বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আহত অবস্থায় ৪১ জনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ জন কমবেশি দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’

People are also reading